চাকরির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা : চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হতে ইবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কেমন আচরণ

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। গতকাল শনিবার তারা চাকরির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আড়াই ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের কারণে চরম বিপাকে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে তারা তালা খুলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির জন্য শনিবার আবারো প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা। দুপুর ১২টার দিকে তৌফিকুর রহমান হিটলার, আশিকুর রহমান জাপান, কাশেম মাহমুদ,মিজানুর রহমান টিটু, আরব আলী, রাসেল জোয়াদ্দার, ইলিয়াস জোয়াদ্দার, মাহবুবুর রহমান, লিটন, শফিকুর রহমান সহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা প্রধান ফটকে তালা দেয়। এ সময় প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী বহনকারী বাস চলাচলে বাধা দেয় তারা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রধান ফটকের পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় চাকরি প্রত্যাশীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা আড়াইটার দিকে প্রধান ফটক ও প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দেয় তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, ‘আমদের প্রয় সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না কেন আমার জানা নেই। কিন্তু গুটিকয়েক লোকের কারণে ১৪ হাজার শিক্ষাথী ভোগান্তির শিকার হতে হয়।’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘তালা লাগানোর পরে তাৎক্ষণিক তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। এখন ক্যাম্পাস স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ বিষয়ে চাকরি প্রত্যাশী আশিকুর রহমান জাপান বলেন, ‘রাজনীতির কারণে আমাদের শিক্ষাজীবন ও ব্যাক্তিগত জীবনের অনেককিছু নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়িত। তাই এলাকার বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দলের কারণে যেহেতু আমাদের সব শেষ হয়েছে তাই তাদেরকে আমাদের রুটি-রুজির ব্যাবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন তাদেরকে চাকরি না দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের চাকরি দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো পদে নিয়োগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরি কমিশন থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞ উঠিয়ে নিলে আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেবো বলে জানিয়েছি।