গাজায় ইসরায়েলি হামলা সপ্তম দিনে গড়িয়েছে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা সোমবার সপ্তমদিনে গড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেনফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। লড়াই বন্ধের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।ইসরায়েলের বিমান এবং নৌ বাহিনীর গানবোট থেকে গাজার ২০৪টি লক্ষবস্তুতেহামলা চলেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। দুবছরের মধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যেএটি সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা।গাজার ইসলামপন্থি হামাস যোদ্ধারা গাজা থেকেপ্রায় ১ হাজারটি রকেট ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকালসোমবার সকালে ইসরায়েল আসদোদের কাছে একটি ফিলিস্তিনি চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) ভূপাতিত করার কথাও জানিয়েছে।ফিলিস্তিনের যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ড্রোন হামলা হওয়ার খবর এটিই প্রথম।হামাসজানায়, ইসরায়েলের অনেক ভেতরে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য তাদের শসস্ত্র শাখা কয়েকটিড্রোন পাঠিয়েছে। খবরটি নিশ্চিত হলে তা হামাসের অস্ত্রের আধুনিকায়নে একধাপ অগ্রগতিরইইঙ্গিত।ড্রোনটিতে বিস্ফোরক ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একমুখপাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারি দিয়ে ড্রোনটি ধ্বংস করাহয়। ইসরায়েলের নৌ বাহিনী সাগরে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছে।ড্রোনহামলার পাশাপাশি গাজা থেকে ৭ টি রকেট হামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। গাজায়ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা সপ্তম দিনে গড়ানোর মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।গাজায় হামলাবন্ধের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে আছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনরোববার ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানিয়ে স্থল অভিযান চালানোরপরিকল্পনা বাতিল করতে বলেছেন।তিন ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত ও পরে নিহত হওয়ারঘটনায় হামাসকে দায়ী করে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনিকিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গাজা অঞ্চলথেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকায় বিমান হামলাশুরু করে ইসরায়েল।