গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে বন্ধ : কনেপক্ষের জরিমানা

 

গাংনী প্রতিনিধি: স্কুলছাত্রী দিপার বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন। বর ও বরযাত্রীসহ দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন আত্মীয়স্বজন। কাজি আর মোল্লা এসেছেন বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু ঘটে গেলো বিপত্তি। পুলিশসহ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। এ সময় বরসহ বিয়ে বাড়ির সকলেই ভোদৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে এ উপজেলার দেবীপুর গ্রামে।

জানা গেছে, গাংনীর দেবীপুর গ্রামের ফারুখ হোসেনের মেয়ে ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী দিপার বিয়ে ঠিক হয় একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে শাহাবুলের সাথে। বুনিয়াদী ঘর আর ভালো বর পাওয়ায় দিপাকে জোর করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করে তার পরিবার। ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল বিয়ে না দেয়ার জন্য দিপার পিতা মাতাকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। অবশেষে বিয়ের দিন ধার্য করে গতকাল।

বাল্যবিয়ের বিষয়টি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনে পুলিশের একটি টিমসহ তিনি গতকাল বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় বরসহ বিয়ে বাড়ির সকলেই ভোদৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন দিপার মা মহিলা খাতুন। স্থানীয় লোকজনের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় পাঁচশত টাকা। সেই সাথে বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত দিপাকে বিয়ে দেবেন না বলেও মুচলেকা নেয়া হয়।