গাংনীর চরগোয়াল গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ। ৭১ বছর আগে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভবনটির ছাদ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে চরগোয়ালগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় একটি তিন কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলে ভবনের বিভিন্ন সংস্কার হয়। এখন বিদ্যালয়টিতে সরকারি আরও দুটি ভবন রয়েছে। পুরাতন ভবনটির ছাদ ও প্লাস্টার খসে পড়ায় কয়েক বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, পরিত্যক্ত ভবনের আশেপাশে ও ছাদে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করে। গ্রামের মানুষও বিভিন্ন কাজে ছাদে ওঠে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতি বছর ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে দর্শকরা অনেকেই ছাদে ওঠে খেলা দেখেন। আমাদের নিষেধজ্ঞা মানে না। তাই ছাদ ধসে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। অনতিবিলম্বে ভবনটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালেন তিনি। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণের লক্ষ্যে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ছেলে-মেয়েদের তো আর চোখে চোখে রাখা যায় না। কে কখন ছাদে ওঠে তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া ওই ভবনের মধ্যদিয়েই অন্য ভবনগুলোতে যেতে হয়। একারণে দ্রুত ভবনটি অপসারণ দরকার। বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ২৭০-২৮০ জন। শিক্ষক ৬জন। এছাড়াও প্রত্যেকদিন অনেক অভিভাবক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করেন। পরিত্যক্ত ভবনের বিষয়টি এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী কাজী সেকেন্দার আলীর দৃষ্টিগোচর করলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে আবেদন করতে হবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আবেদন করে থাকলে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।