গাংনীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের এক গৃহবধূর রিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দিয়েছেন স্বামীর পরিবার। প্রবাসী স্বামী ইমারুলের নগদ ৫ লাখ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়েছেন স্ত্রী আয়শা খাতুন। প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবাসী ইমারুলের পিতা আলতাব হোসেন।

অভিযোগে জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে ইমারুলের সাথে পার্শ্ববর্তী ভোমরদহ গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন আশার বিয়ে হয় সম্পর্কের মাধ্যমে। ইমারুল বিদেশে থাকা অবস্থায় তাদের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। পরে বাড়ি ফিরে বিয়ে করে। কয়েক মাস সংসার করার পর ইমারুল আবারো বিদেশে পাড়ি জমায়। ওই সময় পিতার বাড়িতে ছিলেন আয়েশা খাতুন। ইমারুল বিদেশে কষ্টে উপার্জিত সব টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। কয়েক ভরি সোনার গয়নাও দেন। সম্প্রতি আয়েশা খাতুনের পরিবার থেকে সম্পর্কে টানপড়েন করতে থাকে। এক পর্যায়ে সংসার না করার মৌখিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, আয়েশা খাতুন আশা কুষ্টিয়ার একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। ইমারুলের সাথে সংসার করতে না চাওয়ায় ৫ লাখ টাকা ও সোনার গয়না ফেরত চাওয়া হয়। টাকা ফেরত দেয়ার ভয়ে উল্টো ইমারুলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দেন। এক লাখ টাকা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হতে পারে বলে একটি মাধ্যম দিয়ে ইমারুলের পরিবারের কাছে প্রস্তাব দেয় আশার পরিবার। তাই টাকা ও গয়না উদ্ধারসহ বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইমারুলের পিতা আলতাব হোসেন।

এদিকে ইমারুলের পারিবারিকসূত্রে আরও জানা গেছে, আশা কুষ্টিয়ায় লেখাপড়া করা অবস্থায় প্রবাসী একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওই ছেলে ইমোতে আশার সাথে কথোপকথনের ছবিসহ ইমারুলের কাছে প্রেরণ করে। যার প্রয়োজনীয় ছবিসহ প্রমাণ এখন ইমারুলের হাতে। এই পরকীয়া প্রেমের কারণে আয়েশা খাতুন আশা ইমারুলের সাথে সংসার করতে চাইছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। সংসার করতে না চাইলে কেন মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে তা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে আয়েশা খাতুন আশা ও তার মায়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।