গাংনীতে প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার

 

গাংনী প্রতিনিধি: প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে স্বপন মিয়া (২২) নামের এক প্রেমিককে। গতকাল শুক্রবার গাংনী থানা থেকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রেমিকার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে হাসপাতালে। প্রেমিকার পরিবার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ধর্ষণ মামলা করেছে বলে অভিযোগ প্রেমিক পরিবারের। গ্রেফতার স্বপন মিয়া মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। প্রেমিকার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলায়। সে মাদরাসা ছাত্রী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে মোবাইলফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে স্বপনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় রাজনগরের ওই মাদরাসা ছাত্রীর। প্রেম থেকে পরিণয়ের স্বপ্ন। মনের মানুষের সাথে ঘর বাধার স্বপ্নে বিভোর ওই ছাত্রী স্বপনের ডাকে সাড়া দিয়ে কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে পালায়। স্বপন তার প্রেমিকাকে নিয়ে আশ্রয় নেয় নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী আকুবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে তাদের অবস্থানের কথা জানাজানি হলে গ্রামের মানুষের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আকুবপুর গ্রামের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম লোকজন নিয়ে প্রেমিক জুটিকে আটক করে। এ সময় প্রেমিক-প্রেমিকা তাদের ঘর ছাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়া দুজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। রাতে তাদের দুজনকে গাংনী থানায় নেয়া হয়। খবর পেয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার অভিভাবকরা থানায় যান। কিন্তু প্রেমিকার পিতাসহ পরিবারের লোকজনকে কোনভাবেই ম্যানেজ করতে পারেননি প্রেমিকের পরিবার। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকার পরিবার স্বপনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করে স্বপনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গতকালই তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপরদিকে প্রেমিকার ধর্ষণ পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর আদালতের আদেশ অনুযায়ী তার হেফাজতের বিষয়ে জানা যাবে।

এদিকে ধর্ষণ মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়াকে।

তবে বাদি মামলার আর্জিতে দাবি করেছেন বুধবার রাতভর ধর্ষণ করে পরদিন সকালে স্বপন পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা প্রেমিকা বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে মামলা সুষ্ট তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।