গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে বিপাকে পরিবার : দেবরের কল্যাণে মা হচ্ছেন ভাবী

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর মুন্দা গ্রামের গৃহবধূ কাকলী মা হচ্ছেন। তবে স্বামীর কল্যাণে নয়, স্বামী বকুল হোসেন বছর দুয়েক আগে দুবাই প্রবাসী হলেও দেবর শিহাবের সাথে পরকীয়ার ফসল ওই অনাগত সন্তান। এমনটি জানিয়েছেন কাকলীর শ্বশুর ও শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে পরিবার প্রতিবেশী এমনকি গ্রামবাসীরা জেনে গেলে শিহাবের মামা আমজাদ হোসেন কাকলীকে অন্যত্র রেখে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, মুন্দা গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে বকুলের সাথে বছর সাতেক আগে দুর্লভপুর গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে কাকলীর বিয়ে হয়। ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। পরিবারের সুখ সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে দুবাই চলে যান বকুল। বছর দুয়েক আগে ছুটিতে বাড়ি এসে ৪ মাস পর আবারো ফিরে যান দুবাই।

স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূ কাকলী তার চাচাতো দেবর শিহাবের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। নিয়মিত প্রণয়ের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েন কাকলী। এখন তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যতই দিন যায় কাকলীর শরীরের ভেতরে আরও একটি শরীর বাড়তে থাকে। দেখা দেয় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন। জেনে যায় পরিবার প্রতিবেশী এমন কি গ্রামবাসীরাও।

কাকলীর শাশুড়ী ও শ্বশুর জানান, বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকদিন আগে তারা কাকলীকে সিহাবের বাড়িতে উঠিয়ে দেন। দুদিন পর তারা আবার কাকলীকে ফেরত দেয়। পরে আবারো সেখানে উঠিয়ে দিলে সিহাবের মামা আমজাদ তাকে নিজ হেফাজতে রাখেন। গর্ভপাত ঘটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আমজাদ।

এদিকে ছেলের অপকর্মের দায়িত্ব নিতে চাননি শিহাবের মা রুপালী খাতুন। তিনি বলেন ছেলের অপরাধের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।

এদিকে গতকাল কাকলীর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী সিহাবের বাড়িতে গেলেও কেউ কথা বলতে চাননি। শেষ পর্যন্ত মুখ খোলেন সিহাবের মা। সিহাব তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানান সিহাবের মা।

প্রবাসী বকুলের পিতা বিশারত আলী জানান, বকুলকে ধার দেনা করে বিদেশ পাঠানো হয়েছে। সবার সুখের কথা ভেবে বুকে সব কষ্ট নিয়ে টাকা আয় করছে আর ঘরের বউ নিজের মনের সুখ মেটানোর জন্য আজ পরকীয়ায় মত্ত। অবৈধভাবে গর্ভবতী হওয়ায় কাকলীকে শিহাবের বাড়িতে দিয়ে আসার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

এদিকে বিষয়টি এখন এলাকায় মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার মুখে এখন একই সমালোচনা। এসব বিষয় নিয়ে এক অপমানজনক পরিস্থিতি পার করছেন প্রবাসী বকুলের পরিবার। তবে গর্ভপাতের বিষয়টি জানতে চাইলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন।

এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কি-না তা জানালেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।