গাংনীতে ঈদের কেনাকাটায় বাড়ছে বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের ভিড় : ঈদের শাড়িতে বর্ষার পরশ

 

মাজেদুল হক মানিক: সেই প্রাচিন আমল থেকেই নারীদের এক অনিন্দ সুন্দর অনুষঙ্গ শাড়ি। বিশ্বের সিংহ ভাগ নারীই যেন শাড়িপ্রেমি। শাড়ি ছাড়া আচার অনুষ্ঠান যেন বেমানান। বিশেষ করে ঈদের মতো বর্ণিল আনন্দময় উৎসবের আনন্দকে উপভোগের জন্য অনেক নারী নতুন শাড়ি ছাড়া কল্পনাই করতে পারেন না। তাইতো ঈদের এ উৎসবে নারীরা শাড়ি কিনতে আগে ভাগেই এসেছেন মার্কেটে। বেশ পরখ করেই কিনছেন এ পোশাকটি। আবার অনেকেই তাদের পছন্দের শাড়ি চাহিদাপত্র দিচ্ছেন দোকানিকে। তবে এবারের ঈদে মেহেরপুর গাংনীর বিপনী-বিতানগুলোর শাড়িতে থাকছে বর্ষার পরশ।

ব্যবসায়ীদের মতে, বর্ষা ও গরমে ঈদ হওয়ায় এবারের শাড়িতে প্রাধান্য পাচ্ছে লাল, কমলা, লেমন ইয়েলো, গাঢ় নীল, হালকা নীল, ফিরোজা, আকাশি, সবুজের বিভিন্ন শেড, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, শাদা, কালো, হলুদ ইত্যাদি রঙগুলো। দেশীয় শাড়িতে প্রাধান্য পাচ্ছে সুতি ও তাঁতের কাপড়। এছাড়া এন্ডি, বলাকা সিল্ক, মসলিনের কাপড়ের জমকালো কাজের শাড়িও আছে। লিনেনের কাপড়ের শাড়ি তো থাকছে। জর্জেটের মধ্যে সফট জর্জেটের শাড়িই বাজার ঘুরে বেশি দেখা যায়।

গাংনীর বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে শাড়ির দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে বৈচিত্রময় নান্দনিক কারুকাজ, নকশা ও বুননের শাড়ি। ঐতিহ্যবাহী মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই জামদানি, মিরপুরের কাতান, বালুচুরি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, টাঙ্গাইলের কাতান, সুতি, পাবনা কাতান, জুট কটন, জুট কাতান, হাফসিল্ক, চোষা, সম্বরপুরী ও মনিপুরী শাড়ি আমদানি করা হয়েছে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য।

বাজার ঘুরে ঘুরে যাচাই-বাছাই করে অনেকে কিনছেন মানানসই আর সবচেয়ে ভিন্ন শাড়িটি। নারী ক্রেতারা অনেকেই ঘুরছেন এ দোকান থেকে অন্য দোকানে। পছন্দের শাড়ি না পেয়ে অনেকেই দোকানি পছন্দের ব্রান্ডের শাড়ি এনে দেয়ার অনুরোধও করছেন। দাম যায়-ই হোক, ঈদের আনন্দ বলে কথা! কেউ নিজের জন্য আবার কেউ কেউ মেয়ে কিংবা আত্মীয়ের জন্য কিনছেন নানার রকম শাড়ি।

কয়েকজন পোশাক বিক্রেতা জানান, ১০ রোজা চলে গেলেও শাড়ির বাজার এখনো জমে ওঠেনি। এখনো ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীই বেশি। তারপরও বিক্রি হচ্ছে শাড়ি। ভালো মানের শাড়ি ১২শ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। অন্য সাধারণ শাড়ির দাম সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। অনেকে দোকানে দোকানে ঘুরে শাড়ি দেখছেন আর দরদাম জেনে যাচ্ছেন। রমজানের মাঝামাঝি থেকে শাড়ির বাজার পুরোদমে জমে উঠবে বলে বিক্রেতারা আশা করেন। ঈদ সামনে রেখে নারী ক্রেতার ভিড় দিনে দিনে বাড়বেই শাড়ির বিপণী বিতানগুলোতে।

শাড়ি ক্রেতা আরজিনা খাতুন জানান, ঈদ আসতে দেরি থাকলেও ভিড়ে কেনাকাটা কষ্টকর। তাছাড়া পছন্দের শাড়িটি পাওয়া গেলো; দামও নাগালের মধ্যে তাই কেনাকাটার পাঠটি চুকিয়ে ফেলা হলো। আবারো আসতে হবে কর্তার পাঞ্জাবি কিনতে বলে জানান তিনি।