গণপরিবহনে হয়রানি চলছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিখা বেগম। চলার সঙ্গী শিশুপুত্র আরাফাত তাহসান। গতকাল দুপুর পৌনে ৩টা থেকে ২০ মিনিট ধরে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ব্যস্ত বাংলামটর মোড়ে। গন্তব্য মোহাম্মদপুর। তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে এগিয়ে এলেন জান্নাতুল মারজান নামে এক শিক্ষার্থী। ৫-১০ মিনিটের ব্যবধানে দু একটি গাড়ি এলেও ঠাসাঠাসি গাড়িতে ঠেলাঠেলি করে ওঠা সম্ভব হয়নি। অথচ দুপুরের আগে পরে যাত্রীর চাপ কম থাকার সময়টুকুতে এ অবস্থা হওয়ার কথা ছিলো না। তবে রাস্তায় গাড়ি অন্য দিনের চেয়ে বেশ কম কম মনে হলেও তার কারণ কী জানেন না এ তিনজন। শিখা বেগম বলেন, সকালে মোহাম্মদপুর থেকে সমাজকল্যাণ অফিসে আসার সময়ও গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। স্বকল্প, বিহঙ্গ বা ওই রুটের কোনো গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। এখনও দেখি একই অবস্থা। সবাই বলছে রাস্তায় গাড়ি কম, যা আসছে সবই লোক ভর্তি। কিন্তু কেন গাড়ি কম তা জানি না। শুধু শিখা বেগম, তাহসান বা মারজান নয়। কিংবা কেবল বাংলামটর বা মোহাম্মদপুরও নয়। সিটিং সার্ভিস বন্ধে ঘোষণা এবং অভিযানের তৃতীয় দিন গতকাল সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় পুরো রাজধানীজুড়ে এমন ভোগান্তি ছিলো অধিকাংশ যাত্রীর। মূলত ভাড়া নৈরাজ্য বা সিটিং সার্ভিস বন্ধের অভিযান ব্যর্থ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মালিকরা।