কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০ জানুয়ারি

প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ : ২৪ পদে ৫৯ প্রার্থী লড়ছেন ভোটযুদ্ধে

 

দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জানুয়ারি। নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে যেন মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে কেরুজ আঙিনাসহ দর্শনা শহর। ইউনিয়নের ২৫টি পদের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে রজমান আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এবারের নির্বাচনে কমিটির বাকি ২৪টি পদের বিপরীতে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন ৫৯ জন প্রার্থী।

গতকাল ১০ জানুয়ারি নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে মোট ভোটার সংখ্যা দাড়িয়েছে ১ হাজার ২শ ৬ জন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সরবরাহ করেছেন। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দাখিল করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাচাই করা হলেও কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। একই সময় প্রার্থীদের মধ্যে দেয়া হয়েছে প্রতীক বরাদ্দ। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় থাকলেও ২নং ওয়ার্ড সদস্য পদে শহিদুল ইসলাম ছাড়া অন্য কেউ প্রত্যাহার করেননি। আজ রোববার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব আকুল হোসেন, সদস্য আব্দুল ফাত্তাহ, আকরাম হোসেন শিকদার ও আব্দুস সালাম সাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে সভাপতি পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- তৈয়ব আলী (বাইসাইকেল), হাফিজুল ইসলাম (আনারস) মোস্তাফিজুর রহমান (ছাতা) ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ (চশমা) প্রতীকে। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (হারিকেন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ (চাঁদতারা) ও আতাউর রহমান (মই) প্রতীকে। সহসভাপতি পদে মাঠে রয়েছেন, ইদ্রিস আলী (মোমবাতি), জয়নাল আবেদীন (হাতি), জুলফিকার হায়দার (কলস), ফারুক আহম্মেদ (তালাচাবি), রেজাউল করিম (কাপ-পিরিচ) ও শফিকুল আলম (টেবিল)। সহসাধারণ সম্পাদক পদে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন, আতিয়ার রহমান (চেয়ার), আসাদুল হক ব্যাকা (কোদাল), আ. রব বাবু (দোয়াত-কলম), আব্দুল হান্নান (মোরগ), ইসমাইল হোসেন (হাঁস), খবির উদ্দিন (মাছ), জয়নাল আবেদীন (তলোয়ার), নাসির উদ্দিন (হাত-পাখা) ও বাবুল আক্তার (কলম)। ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে আয়ুব আলী সন্টু (ডাব) ও সালাহ উদ্দিন শাহ (বাল্ব)। ২নং ওয়ার্ডে রমজান আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ৩নং ওয়ার্ডে সানোয়ার হোসেন (বালতি) ও সমির কুমার সরকার (ডাব)। ৪নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেম (বালতি), বাবর আলী (ডাব) ও বিল্লাল হোসেন (বেলচা) প্রতীক। ৫নং ওয়ার্ডে আজিজুল হক (ডাব), বিল্লাল হোসেন (হাতুড়ি) মনিরুল ইসলাম (বালতি)। ৬নং ওয়ার্ডে শ্রী গোবিন্দ কুমার হালদার (বালতি), মঈনউদ্দিন লিটন (বাল্ব), মজিবর রহমান (ডাব), রবিউল ইসলাম (হাতুড়ি), শামীম হোসেন (বেলচা) ও হাফিজুর রহমান (আখের আঁটি)। ৭নং ওয়ার্ডে আক্রাম আলী (কাঁঠাল), আমিনুল ইসলাম (হাতুড়ি), আরিফ (ডাব), মফিজুর রহমান (বেলচা), মামুন আহম্মেদ (আখের আঁটি), মোহাম্মদ আলী (বাল্ব) ও শফিকুল আলম (টর্চলাইট)। ৮নং ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস (টর্চলাইট), একরাম আলী (আখের আঁটি), বাবুল আক্তার (হাতুড়ি), শরিফুল ইসলাম (মোটরগাড়ি ও শাহআলম (ডাব)। ৯নং ওয়ার্ডে একরামুল হক (বালতি), এএসএম কবির (আখেরআটি) ও সাহেব আলী শিকদার (ডাব)। ১০নং ওয়ার্ডে আব্দুর রহমান (বেলচা), ইয়ামিন হক (আখের আঁটি), মতিয়ার রহমান (বালতি) ও সিরাজুল ইসলাম (ডাব) এবং ১১নং ওয়ার্ডে আব্দুল আজিজ (ডাব), আব্দুর রাজ্জাক (আখের আঁটি) ও শফিকুল ইসলাম (হাতুড়ি) প্রতীকে।