একটু হাওয়া হলেই কার্পাসডাঙ্গায় চলে যায় বিদ্যুত

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: একটু মেঘ ডাকলে বা হাওয়া উঠলেই বিদ্যুত উধাও। আর অসহায় হয়ে পড়ছে মানুষ। নেই কোনো প্রতিকার, আছে শুধু অজুহাত। এভাবেই চলছে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছির মানুষের কষ্টে চলা জীবন। আর ফায়দা নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুত। আকাশে মেঘ কিংবা সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই দামুড়হুদা উপজেলায় বিদ্যুত উধাও হয়ে যাচ্ছে। একবার বিদ্যুত গেলে কখন আসবে তা বলাও মুশকিল। তা দিনে হোক আর রাতেই। ফলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা কর্তৃপক্ষ কাজ করতে খাচ্ছে হিমশিম। দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন কেউ কেউ। ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের পড়েছে মাথায় হাত। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে তারা পড়েছেন বিপাকে।

জানা গেছে, বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজির ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকছে দামুড়হুদা উপজেলাবাসী। ব্যাহত হচ্ছে সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, বীমার কাজ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা। তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রায় লোডশেডিঙে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে দামুড়হুদাবাসী। দিনে প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় এবং রাতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং ও ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাটের শিকার বিদ্যুত গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে যেকোনো সময় এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অফিসিয়ালি ও অন্য কাজে দূর থেকে আশা মানুষজন ঠিকমতো ফটোকপি কম্পিউটার কম্পোজ বৈদ্যুতিক নির্ভরশীল কাজকর্ম করতে পারছেন না। উপজেলায় কার্পাসডাঙ্গার কম্পিউটার ব্যবসায়ী মাজেদুল হক জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং বেশি হওয়ায় দিন দিন ব্যবসা অচল হচ্ছে। সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিঙের কারণে আমাদেরও কাজ করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।