এই পাগলামি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে : জাতিসংঘ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা এলাকায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেব্যবহৃত স্কুলে চালানো ইসরায়েলের হামলা অনৈতিক ও অপরাধমূলক বলে মন্তব্যকরেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে মুনবলেন, ‘এই পাগলামি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ কড়া নিন্দা জানিয়ে মুন ওইহামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল বলে চিহ্নিত করেন।গাজায় সোমবার সাত ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। তবে তার আগেই ইসরায়েলের হামলায় ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গতকালজাতিসংঘের স্কুলে চালানো ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেরপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পাস্কি বলেন, এ ধরনের হামলানিন্দাজনক। এতে যুক্তরাষ্ট্র মর্মাহত। তবে বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রহামলাকারী হিসেবে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেনি।গতপরশু ওই হামলায় ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্কুলটিতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলো।জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

বিবিসিঅনলাইনের খবরে জানানো হয়, ইসরায়েল গাজায় সাত ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাদেয়। সে দেশের সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োভ মোরদেচাই বলেন, রাফার পূর্বাঞ্চল ছাড়া অন্যান্য স্থানে সকাল ১০টা থেকে সাত ঘণ্টাযুদ্ধবিরতি চলবে। তবে যুদ্ধবিরতির আগে সোমবার সাতসকালেই গাজা উপত্যকায়ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ঝরে গেছে ১০ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ।গাজারজরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানান, সোমবার ভোর হতে না হতেইসরায়েলের হামলায় জাবালিয়ায় পাঁচজন, জিতুন ও শেখ রাদওয়ানে তিনজন এবংনুসিরাত ও রাফায় দুজন নিহত হয়েছে।

বার্তা সংস্থাএএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলেরবর্বর হামলায় এক হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশবেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।২৮ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে নয় সহস্রাধিক মানুষ। এ ছাড়া লাখো ফিলিস্তিনি হয়েছে বাস্তুচ্যুত।ইসরায়েলেরসামরিক বাহিনীর দাবি, এ পর্যন্ত তারা গাজায় চার হাজার ৬৮৬টি লক্ষ্যবস্তুতেহামলা চালিয়েছে। একই সময় গাজা থেকে দুই হাজার ৫৬০টি রকেট ও মর্টার শেলছুড়েছে হামাস। প্রায় চার সপ্তাহে ইসরায়েলের ৬৪ জন সেনা ও দুই বেসামরিকনাগরিক নিহত হয়েছে।গাজা থেকে হামাস রকেট ছুড়ছে এই অজুহাত তুলে ৮ জুলাই ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।