ইসির বিরুদ্ধে আদালতে যাবে সুজন

স্টাফ রিপোর্টার: প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য কেউ যেন দেখতে বা ডাউনলোড করতে না পারে সেজন্য কৌশলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, হলফনামার তথ্য জানার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। এটা গোপন করা হলে তারা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা, হলফনামায় যেসব তথ্য দিয়েছেন সেখানে আট ধরনের তথ্যের মধ্যে সম্পদের হিসাবও রয়েছে। ৫ বছর আগে দেয়া তাদের সম্পদের হিসাবের সাথে তা তুলনা করায় বেরিয়ে এসেছে থলের বেড়াল। সংবাদ মাধ্যমগুলো এ নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট করছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ময়করভাবে কারো কারো সম্পদ একশ গুনও বেড়েছে। তাদের স্ত্রীদের কোনো প্রকাশ্য আয় না থাকলেও তারাও সম্পদশালী হয়েছেন। প্রার্থীরা প্রধানত তাদের সম্পদের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন মৎস্যখামার ব্যবসা। তবে বাস্তবে মৎস্যখামারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ সম্পদ বাড়ার তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর কাছের বলে যারা পরিচিত তারাও রয়েছেন। এতে বিব্রত শাসক দল। গত রোববার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর সরাসরি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে হলফনামার তথ্য প্রকাশে লিখিত আপত্তি জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। এরপর থেকেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে হলফনামার অংশে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম ম্যানেজার অবশ্য দাবি করেছেন, ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার কারণে দেখতে সমস্যা হচ্ছে। ২০০৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় আট ধরনের তথ্য থাকার নির্দেশ দেয়। এ তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলা হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও হলফনামার তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো।