ইরাকে মার্কিন হামলা জোরদার

 

খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দেয়া হবে না : ওবামা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরাকে বিমান হামলা জোরদার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামলার সাথে সাথে চলছে আটকেপড়া মানুষের জন্য ত্রাণ সাহায্য। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টবারাক ওবামা বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে তিনি সুন্নি জিহাদিদের খেলাফতপ্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না। ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের অবস্থানের ওপরমার্কিন বিমান হামলার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারেওবামা এ কথা বলেন। ওবামা ইরাকে হামলার কোনো সময়সীমাও উল্লেখ করেননি। এইহামলা দীর্ঘ সময়ব্যাপি চলতে পারে বলেও জানান তিনি।

পেন্টাগনসূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেসিনজার পর্বতে আটকেপড়া ইয়াজিদিদের জন্য বিমান থেকে খাবার ও পানীয় জলেরপ্যাকেট ফেলা হয়। একইসঙ্গে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’র (আইসিস)অগ্রগতি আটকাতে ড্রোন হানা চালানো হল। বৃহস্পতিবার সীমিত বিমান আক্রমণচালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। শুক্রবার সকালে উত্তর ইরাকেআইসিস’র গোলাবারুদের সংগ্রহে বিমান আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দুটিএফ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান জঙ্গিদের অবস্থানের ওপরে ২২৭ কেজির বোমাফেলে। ইরাকি সূত্র জানিয়েছে, এই মার্কিন হানায় আইসিস’র ৪৫ জন জঙ্গির মৃত্যুহয়েছে, আহত প্রায় ৬০ জন। আইসিস জঙ্গিদের অগ্রগতি ঠেকানো যাবে বলেযুক্তরাষ্ট্রের আশা।

দ্বিতীয় দফার হামলায় জঙ্গিদের একটি মর্টারকেন্দ্র ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের একটি দলকেও হত্যা করা হয়েছে। এরই একঘন্টাপরে লেজার গাইডেড বোমা দিয়ে সাতটি গাড়ির একটি বহরে হামলা করা হয়।ভূমধ্যসাগরে থাকা একটি বিমানবাহী ক্যারিয়ার থেকে ওই হামলাগুলো পরিচালনাকরা হচ্ছে। কুর্দি পেশমার্গার মিলিশিয়া বাহিনী আইসিস’র হাত থেকে ইরবিল শহররক্ষার জন্য লড়াই করছে। উত্তর ইরাকে পার্বত্য এলাকায় হাজার হাজার ইয়াজিদিবাড়িঘর ফেলে আশ্রয় নিয়েছে। ইরবিলে ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র জুলিয়েট টোমাবলেন, এর মধ্যেই ৫০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং তাদেরকে ওই পার্বত্য এলাকাতেইকবর দেয়া হয়েছে। আইসিস এখন সিরিয়া এবং ইরাকে বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

ওবামাবলেন, কুর্দি শহর ইরবিলকে রক্ষার জন্য এই বিমান হামলা দরকার ছিলো।প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর জঙ্গিদের অগ্রাভিযানঠেকানোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ নিহিত রয়েছে। তবেতিনি এটাও স্পষ্ট করে বলেন যে, সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সম্ভাব্যগণহত্যা ঠেকানোও ওই বিমান হামলার একটি উদ্দেশ্য ছিলো। এছাড়া সাপ্তাহিকবেতার ভাষণে বারাক ওবামা আবারো বলেন যে, মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে ফিরে যাবেনা। দুদফা বিমান হামলা চালানোর পর পেন্টাগন বলেছে, এ হামলা অব্যাহতথাকবে। ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম ইরাকেযুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোন সামরিক অভিযানে অংশ নিলো।