ইরাকে বাঁধ ও তেলক্ষেত্র দখল করেছে আইএসআইএস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কুর্দি বাহিনীর কাছে প্রথম বড় ধরনের পরাজয়ের পরপাল্টা হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) যোদ্ধারা ইরাকের সবচেয়ে বড় বাঁধ,একটি তেলক্ষেত্র ও আরও তিনটি ছোট শহরের দখল নিয়েছে।প্রাথমিক বিপর্যয়ের পর রোববার কুর্দি বাহিনীকেহটিয়ে দেয় আইএসআইএস’র যোদ্ধারা।২৪ ঘণ্টার এ পাল্টা অভিযানে ইরাকের সবচেয়েবড় জলবিদ্যুত প্রকল্প মসুল বাঁধ দখল করেছে তারা। এর ফলে ইরাকের প্রধান শহরগুলোবন্যায় ডুবিয়ে দেয়া অথবা সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পানি বঞ্চিত করার সামর্থ্য অর্জনকরেছে আইএসআইএস।
এ ঘটনায় নুরি আল মালিকির নেতৃত্বাধীন ইরাকের শিয়া সরকারেরক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে।ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, কোনো লড়াই ছাড়াই কুর্দি বাহিনীকে প্রত্যাহার করার পর ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী দলমসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।কিন্তু ইরাকির টেলিভিশনের এ বক্তব্যেরবিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থানরত কুর্দি কর্মকর্তা কারবানজেবারি দাবি করেছেন, বাঁধটি কুর্দি বাহিনীর পেশমেরগাসেনাদের নিয়ন্ত্রণেইআছে।তবে বাঁধের আশপাশের কয়েকটি ছোট শহরের পতন হয়েছে বলে স্বীকার করেনতিনি।তিনি বলেছেন, সপ্তার শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নিতেথাকে।পেশমেরগা যোদ্ধারা বাঁধের কাছের শহরগুলো পুনর্দখল করার উদ্দেশেরোববার রাতে বড় ধরনেরঅভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে জানিয়েছিলেনতিনি।ইরাকের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল এলাকা দখল করে এগিয়ে যেতে থাকাআইএসআইএস’র সুন্নি বিদ্রোহী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইরাকের যে অল্প কয়েকটি বাহিনী রুখেদাঁড়িয়েছিলো পেশমেরগা সেনারা তার অন্যতম। মসুল বাঁধ থেকে বাহিনীটির দ্রুত প্রত্যাহারএ প্রতিরোধ লড়াইয়ের এক বড় বিপর্যয়।মসুল বাঁধ ছাড়াও জঙ্গিরা তিনটি শহর ওআইন জালাহ তেলক্ষেত্রের দখল নিয়েছে। এর আগে আরো চারটি তেলক্ষেত্র দখল করেছিলোগোষ্ঠীটি। এসব তেলক্ষেত্র তাদের অভিযানের খরচ জুগিয়ে চলছে।জঙ্গিরা জুমারশহর দখলের জন্যে আক্রমণ শুরু করলে কুর্দিদের প্রাথমিক শক্ত প্রতিরোধ আস্তে আস্তেমিলিয়ে যায়। এরপর শহরটিতে নিজেদের কালো পতাকা উড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা।ইসলামিকস্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইরাকের দখল করা বিশাল অংশ ও সিরিয়ার দখল করা কিছু অংশ নিয়েইসলামী খেলাফত ঘোষণা করেছে। এতে ২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর বিশ্বের অন্যতমপ্রধান জ্বালানি তেল রপ্তানিকারী দেশ ইরাকের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বড় হুমকির মুখেপড়েছে।