আলমডাঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নির আজ ঘটা করে বিয়ে

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আসাদুল হকের মেয়ে শিশু মুন্নির বিয়ে আজ। বেশ ঘটা করেই আয়োজন করা হয়েছে বিয়ের। বরযাত্রীসহ বর আসবে। আসবে আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু কনে মুন্নি খাতুন ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সে ঘর-সংসার বা বিয়ের কিছু না বুঝলেও তাকে আজ শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বাল্যবিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মুন্নির পিতা-মাতা এসবে আমল দিচ্ছেন না। স্থানীয় সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের মেধাবী ছাত্রী মুন্নির (১৩) উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে অভিশপ্ত বাল্যবিয়ের মাধ্যমে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজালাল বেনা জানান, আমি বাল্যবিয়ের ঘোর বিরোধী। আমি কারো বয়স বাড়িয়ে জন্মনিবন্ধন দিই না। আপত্তি সত্ত্বেও টাকার লোভে অবৈধভাবে তারা বিয়ে পড়িয়ে দেন। এলাকার একজন সমাজ সেবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কিছু লোভী মণ্ডল-মাতবর আছেন যারা দু মুঠো খাওয়ার জন্য বাল্যবিয়ে সমর্থন করেন এবং যে কোনো কায়দায় বিয়ের ব্যবস্থা করেন। পারকৃষ্ণপুর গ্রামের একজন জানান, দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের আল আমিন কাজি না হলেও ভুয়া বিয়ে পড়িয়ে থাকেন। কনের বয়স কম হলে তিনি শাদা কাগজে বিয়ে পড়ান। জন্ম নিবন্ধনপত্র দেয়া হলে তখন বিয়েটি রেজিস্ট্রি করার ব্যবস্থা করে দেন। এলাকার অনেকেই জানান, এসব ভুয়া কাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে বাল্যবিয়ে কিছুটা রোধ হতো। মুন্নি যাতে বাল্যবিয়ের শিকার না হয় সে কারণে সচেতন মহল আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিসহ জেলা লোকমোর্চার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।