আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর যুবলীগের অফিস ভাঙচুর ঘটনায় প্রতিবাদসভায় জেলা নেতৃবৃন্দ

অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

মোমিনপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর বাজারস্থ আইলহাস ইউনিয়ন যুবলীগের অফিস ভাঙচুর লুটপাট ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করে। হামলাকারীদের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকি আসামিরা গ্রেফতার এরাতে পলাতক রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগ এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বলেশ্বরপুর বাজারস্থ আইলহাস ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে প্রতিবাদসভায় ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিমুদ্দিন কদমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুগ্মসম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলু চৌধুরী, জেলা যুবলীগ নেতা সুমন, টুটুলসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আকুল, রতন, লাটিম, বাদল মেম্বার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করেছে। নিন্দা জ্ঞাপন করে বক্তারা বলেন, ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য গত রোববার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলেশ্বরপুর বাজারস্থ আইলহাস ইউনিয়ন যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে গত পরশু সোমবার আলমডাঙ্গা থানায় ৮ জনসহ অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আইলহাস ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আজিজ আহম্মেদ সুজনকে গ্রেফতার করে। মামলার বাকি আসামিদের পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালালেও এখনও পর্যন্ত আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।