আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী হাইস্কুলের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভুয়া প্রকল্প কমিটি দাখিল করে ৩ টন টিআর আত্মসাৎ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত ২ টন চাল ও ১ টন গম আত্মসাৎ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. হুমায়ন কবীর। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সই-স্বাক্ষর জাল করে চাল ও গম বিক্রির প্রায় ১ লাখ টাকা নিজ পকেটে পুরেছেন তিনি। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়েও তিনি অর্থ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি মেম্বার মো. ইসরাইল হোসেন এলাকাবাসীর পক্ষে সভাপতির বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।

জানা গেছে, ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মো. হুমায়ন কবীর। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগকারীরা জানান। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ২ টন চাল ও ১ টান গম আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বিশেষ টিআর প্রকল্পের আওতায় ২ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যার ডিও নং ৫৬৪, তারিখ ৭/১১/২০১২। যে চালের মূল্য ৬৭ হাজার ৬১০ টাকা। এ ছাড়া একই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাবদ গত ২৮ এপ্রিল  ১ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। যার প্রকল্প ডিও নং ৪৮১। এ ১ টন গমের মূল্য ২৭ হাজার ৪৮৮ টাকা। সর্বমোট ৯৫ হাজার ৯৮ টাকা মূল্যেরে চাল ও গম বিক্রি করে সভাপতি মো. হুমায়ন কবীর পকেটস্থ করেছেন। বিদ্যালয়ের নামে চাল ও গম বরাদ্দ দেয়া হলেও ম্যানেজিং কমিটির কাউকে না জানিয়ে নিজে প্রকল্প চেয়ারম্যান হয়ে ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দাখিল করেন তিনি। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সেক্রেটারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানের স্বাক্ষরই শুধু জাল করা হয়নি, জাল করা হয়েছে অন্য সব সদস্যের সই। বিষয়টি তদন্ত করলেই আত্মসাতের পুরো তথ্য বেরিয়ে পড়বে বলে দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন শিয়ালমারী গ্রামের মৃত জলিল মল্লিকের ছেলে সাবেক ইউপি মেম্বার ইসরাইল হোসেন।

বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. হুমায়ন কবীর কর্তৃক ২ টন চাল ও ১ টন গম আত্মসাতের বিষয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান (যিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণ করেছেন) বলেছেন বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত ২ টন চাল ও ১ টন গম কাউকে না জানিয়ে সবার সই-স্বাক্ষর জাল করে সভাপতি আত্মসাৎ করেছেন। একটি টাকাও তিনি বিদ্যালয়ের কাজে ব্যয় না করে ভুয়া বিল-ভাউচার দাখিল করেছেন উপজেলা পিআইও অফিসে। এ আত্মসাতের বিষয়ে বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দাবি তুলেছে সভাপতিকে বিদ্যালয়ের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। না হলে তার বিরুদ্ধে এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।