আলমডাঙ্গার পারকুলা গীরপাল গজে পীরের সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামের পীরপাল গজে পীরের আস্তানার জমি নিয়ে ভুয়া কমিটি করে স্বার্থান্বেষী মহল ওই সম্পতি হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে কয়েকশ বছর আগে এ অঞ্চলের জমিদার দানবীর শাখায়াততুল্লাহ হাজির জমিতে পীরপাল গজে পীর আস্তানা গড়ে তোলেন। ওই স্থানে শাখায়াততুল্লাহ হাজি একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছিলেন। ওই সম্পত্তিতে থাকার সুবাদে পীরের খাদেম হিসেবে মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এবাদত শেখ ও  নতু বেওয়া নামের এক মহিলার নামে খাদেম সূত্রে ওই জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারেশগণের মধ্যে ওয়ারেশ মোতাবেক বণ্টন ও ভোগদখল করতে থাকেন। পরে সিএস রেকর্ড মোতাবেক এসএ রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্ত্তীতে নতু বেওয়ার ওয়ারেশগণ উল্লেখিত ৫৫ শতক জমিতে ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে দান করেন। ফলে উল্লেখিত জমিটি রেকর্ডভুক্ত হওয়ার সময় সর্ব সাধারণের ব্যবহারের যোগ্য বলে গণ্য হয়। এরপর ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় তার রক্ষনাবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি দীর্ঘ বছর ঈদগাহ ও আস্তানা রক্ষনাবেক্ষণ করে আসছে। এই ঈদগাহের উন্নয়নে সরকারিভাবে ২০০৪ সালে এক মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। গ্রামের মানুষ ঈদগাহর উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর ঈদের সময় টাকা উত্তোলন করে থাকেন। যে টাকা কমিটির মাধ্যমে ফান্ড গঠন করা হয়েছে। এ ফান্ডের টাকা থেকে বর্তমানে উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড চলছে। এমনি অবস্থায় একটি চক্র ভুয়া কমিটি দেখিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ভুয়া ওই কমিটি আদালতে মামলা করে। যা বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি কোরাইশি হারুন-অর-রশিদ জানান তারা বৈধ কাগজ পত্রসহ আদালতে জবাব দিয়েছেন। এখন নতুন করে আবারো চক্রান্ত শুরু করছে।