আলমডাঙ্গার গড়গড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়া প্রেমিক উধাও : গৃহবধূ বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামে গৃহবধূ প্রতিবেশীর বাড়িতে প্রেমিকের সাথে শাশুড়ির হাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর বিয়ের দাবিতে অনশন করে। গৃহবধূর স্বামী তাকে তালাক দেয়। পরদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রাম্যসালিসে তার প্রেমিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সালিস মানি না বলে গৃহবধূ জানায়। বিচারের আশায় গৃহবধূ গ্রাম্য মাতবরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামের ইসাহকের ছেলে ইনামুলের (২৫) সাথে বেতবাড়িয়া গ্রামের জাহানের মেয়ে হোসনে আরার (২২) বিয়ে হয়। পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে সিরাজুল চৌধুরীর ছেলে সাহাবুল (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূর দেহভোগ করতে থাকে। গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশীর বাড়ির একটি ঘরে হোসনে আরাকে ডেকে নেয় সাহাবুল, মেতে উঠে রঙ্গলীলায়। এ সময় গৃহবধূর শাশুড়ি তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে ঘরে শিকল তুলে দিতে গেলে তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় সাহাবুল। ঘরের মধ্যে চাদর, সেন্ডেল ফেলে ভৌ-দৌঁড় দেয় সে। ধর ধর বলে পিছু নেন গৃহবধূর শাশুড়ি। গ্রামের মোড় হয়ে সাহাবুলের হন্তদন্ত দৌঁড় দেখে অবাক হয় সকলে। গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেয় স্বামী পক্ষের লোকজন। উপায় না পেয়ে প্রেমিক সাহাবুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি তোলে সে। পরদিন এ নিয়ে গ্রাম্য সালিসে সাহাবুলের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিচার না মেনে বিয়ের দাবিতে অনড় থাকে গৃহবধূ হোসনে আরা। একটি পক্ষ বিচার মেনে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করে হোসনে আরা জানায়, বিয়ের কথা বলে যে আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে, সমাজের চোখে আমাকে খারাপ মেয়ে বানিয়েছে, যার জন্য স্বামী সংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। টাকা নিয়ে আমি কী করবো? আমি তাকে টাকা দেব সে আমার আগের জীবনটা ফিরিয়ে দিক। সে আরো বলেন, আমার পিতা দরিদ্র মানুষ, দারিদ্র্যতার কারণে মামলা করতে পারছি না। সে বিচারের আশায় এলাকার মাতবরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে জানায়।