আলমডাঙ্গার গ্রামে গ্রামে এখন কৃষকের আমন ধান কাটা ও মাড়াই‘র তুমুল ব্যস্ততা

বাম্পার ফলন হলেও দাম ভালো না পাওয়ায় সন্তষ্ট নয় কৃষকরা

 

এম.হাফিজ, শরিফুল ইসলাম : আলমডাঙ্গার গ্রামে গ্রামে এখন কৃষকের আমন ধান কাটা ও মাড়াই‘র তুমুল ব্যস্ততা। হাওয়ায় হাওয়ায় নবান্নের মৌ মৌ সুঘ্রাণ। বাম্পার ফলন হলেও ভালো দাম না পাওয়ায় সন্তষ্ট নয় কৃষকরা।

আলমডাঙ্গা এলাকায় আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে এখন পুরোদমে। ফলন কেমন হচ্ছে, বাজার দর কেমন, কৃষকের অনুভূতি কী তা জানতে সরেজমিনে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাবিলনগর, খাসকররা, পাঁচলিয়া, ভোদুয়া, জামজামি, বেলগাছী, গোবিন্দপুর, এরশাদপুর, বন্ডবিল, কুমারীসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে সব গ্রামেই কৃষকের ব্যস্ততা। বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম থাকলেও ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা বেজায় খুশি। কাবিলনগর গ্রামের মোখলেছুর রহমান ৭ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছিলেন। গতকাল পর্যন্ত তিনি ৪ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। একই গ্রামের রুহুল কুদ্দুস ৫ বিঘা ধানের মধ্যে ২ বিঘা, পাঁচলিয়ার বাবুল হোসেন ১২ বিঘার মধ্যে ৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। শ্রমিকের অভাবে অনেকেই এখনো ধান কাটতে পারেননি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর ফসল হয়েছে ভাল। ফলনও সন্তোষজনক। তবে কিছু কিছু নতুন জাতের ধান ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ হওয়ায় সেসব ক্ষেতে ফসল ভালো হয়নি। গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার আশাদুল হক মণ্ডল, ওল্টু মিয়া, ইসা হক আলী, আফজাল, মঞ্জু, কুমারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, বুলবুল, মাহাবুবসহ অধিকাংশ কৃষক অর্ধেকের বেশি ধান কেটে ফেলেছেন। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সব ধান কৃষকের গোলায় উঠবে বলে আশা করছেন তারা। এসকল আমন চাষির চোখে মুখে এখন খুশির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। বিঘা প্রতি ১৫/১৬ মণ হিসেবে ফলন পেয়েছেন বলে প্রায় সকলে দাবি করেছেন। চাষিরা জানান, ধানের বাজার মন্দা। কম বেশি সাড়ে ৭শ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান। তাতে সন্তষ্ট নয় কৃষককুল। এ দামে ধান বিক্রি করলে মোটেও লাভ হবে না।

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম.হাসিবুল হাসান জানিয়েছেন, চলতি মরসুমে উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে  আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশিই আবাদ করা হয়েছে।