আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামে দুজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে এক নারীসহ দুজনকে গাছে বেঁধে পেটানো হয়েছে। গতরাতে এ ঘটনা ঘটে। পরস্ত্রী বিউটির ঘরে একই গ্রামের হাসানকে আটক করে গ্রামের কতিপয় লোক। পরে তাদেরকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে চরম নির্যাতন করা হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দোলুর ছেলে হাসান (৪০) একই গ্রামের সেন্টুর স্ত্রী বিউটি খাতুনের (২৫) ঘরে ঢোকেন। গতকাল বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের কতিপয় লোক তাদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে দুজনকে একই দড়িতে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা নির্যাতনের পর তাদেরকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার গ্রাম্য সালিস বসবে বলে গ্রামসূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলেছে, আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে সেন্টু গতকাল সন্ধ্যায় পার্শ¦বর্তী গ্রাম নতিডাঙ্গায় ওয়াজ শুনতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের হাসান গোপনীয়ভাবে সেন্টুর স্ত্রী বিউটির ঘরে ঢোকেন। গ্রামবাসী ঘটনাটি টের পেয়ে ঘরের দরজায় শেকল লাগিয়ে দেয়। এ সময় গ্রামের মোমের ছেলে মোহিত, আবদুল জামিলের ছেলে আবুল কালাম, জালালের ছেলে মতিয়ার, আসাদুলের ছেলে জামিল, মৃত রিকতির ছেলে সাদেকসহ বেশ ক’জন হাসান ও বিউটিকে ঘর থেকে বের করে একটি গাছে দড়ি দিয়ে বাঁধেন। এ সময় তারা দুজনকে বেপরোয়া মারধর করেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হাসান ও বিউটিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালান তারা। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার সালিসের আয়োজন করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।