আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামে গৃহবধূর আত্মহত্যা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মাত্র ৪ মাসের কন্যা সন্তান রেখে আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল দুপুরে পরিবারের সকলে পুকুরে গোসল করতে গেলে সেই ফাঁকে সোনিয়া ঘরের সিলিঙের সাথে ওড়না ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। জানা গেছে, কুমারী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শরিফুল ইসলাম ভাষার সাথে ৭/৮ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী কাঠাভাঙ্গা গ্রামের সানোয়ার হোসেনের মেয়ে সোনিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২/১ বছর অন্তর ভাষা বাড়ি যাওয়া আসা করেন। গত ৪ মাস আগে ভাষা দেশ থেকে মালয়েশিয়া যায়। বর্তমানে তাদের ৪ মাসের একটা শিশুকন্যা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পুকুরে গোসল করতে গেলে সেই ফাঁকে সোনিয়ে ঘরের সিলিঙের সাথে নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

প্রতিবেশি ও পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, সোনিয়ার সংসারে তেমন কোনো অশান্তি ছিলো না। বরং সোনিয়া ছিলো মানসিক রোগী, আত্মহত্যাপ্রবণ। গত ২ মাস আগে কাঠাভাঙ্গায় নিজের বাপের বাড়িতে অবস্থানকালে একবার আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছিলো। সে দফা তাকে বাঁচানো গেলেও এবার সম্ভব হয়নি। গত ২ দিন আগে বাপের বাড়ি থেকে মাকে সাথে নিয়ে সে শ্বশুর বাড়িতে আসে। গত ২ দিনে আত্মহত্যার মতো কোনো কারণের সৃষ্টি হয়নি বলেও প্রতিবেশিরা মন্তব্য করেছেন। এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানা প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়।