আমরা ঘণ্টা বাজাই একই সময়ে ঘণ্টাধ্বনি বাজিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো বাংলাদেশের শিশুরা

 

ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গাসহ বাংলাদেশের শিশুরা এক মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজিয়ে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নীতি নির্ধারক ও দেশবাসীর। উই রিং দ্যা বেল নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও অ-প্রতিবন্ধী শিশুরা ঘণ্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা বাসনে আওয়াজ তুলে প্রতীকী এ কর্মসূচি পালন করে। একই সময়ে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী উই রিং দ্যা বেল নামক এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে। যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারে না তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অন্য সকল প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী নয় এমন সকল শিশু, তাদের শিক্ষক, অভিভাবক মিলে এ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণ কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। চুয়াডাঙ্গার এমএবারী মাধ্যমিক ও এমএবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে ১২টা এক মিনিট পর্যন্ত একযোগে ঘণ্টাধ্বনি বাজায় শিশুরা। প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ডিআরআরএ ও এসএলএফ নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় ক্যাম্পেইনের কর্মসূচিতে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক জাহিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা জিসিএর সভাপতি হাজি ওয়ালিউর রহমান মালিক, পাস’র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, এমএবারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আলী আকতার, মনিরুল ইসলাম, ফজলুল হক মালিক, আসলাম উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, শাহীনা তানজুয়ারা, মহিবুল হক, এমএবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মওলা, উদীচী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদের  সভাপতি অ্যাড. নওশের আলী, আকাঙ্খার নিবাহী পরিচালক শাহীন সুলতানা মিলি, সদর উপজেলা লোকমোর্চা সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, প্রত্যাশার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন সারাবিশ্বব্যাপী এ কার্যক্রমটি একইভাবে উদযাপন করছে প্রতিবন্ধী ও সাধারণ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের আঙিনায় জড়ো হয়ে ১ মিনিট বেল ও ড্রাম বাজিয়ে অসাধারণভাবে কোলাহল তৈরি করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয় গমনে প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।